আইটি পেশাজীবী হোন বিনামূল্যে! আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ এর ৬৮তম রাউন্ডে ২ লাখ টাকার স্কলারশিপ ও চাকরির সুযোগ (আবেদন চলছে)
নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন: তরুণদের জন্য ডিজিটাল বিপ্লব, শূন্য বেকারত্বের পথে যাত্রা
দেশ০৮-এ আমাদের স্বপ্ন এমন এক নতুন বাংলাদেশের, যেখানে তরুণরা হবে মুক্ত পেশাজীবী, মুক্ত দুনিয়ার আইটি উদ্যোক্তা, এবং ডিজিটাল যাযাবর। আমরা এমন একটি প্রজন্মকে কল্পনা করি যারা ঘরে বসেই শিখবে এবং উপার্জন করবে, নিজেদের জন্য উন্মোচন করবে এক বিশাল সম্ভাবনার জগৎ। আমাদের লক্ষ্য একটি দুর্নীতিমুক্ত, পরিবারতন্ত্রমুক্ত, বৈষম্যহীন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সবাই সমান সুযোগ পাবে। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে – এক নতুন শক্তির বাংলাদেশ। প্রফেসর ইউনূসের শূন্য বেকারত্বের স্বপ্ন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই ব্লগটি বাংলাদেশের যুবকদের ডিজিটাল যুগে সফল হতে সাহায্য করার জন্য নিবেদিত।
আপনার জন্য সুবর্ণ সুযোগ: আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (৬৮তম রাউন্ড)
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আবারও এক ঐতিহাসিক সুযোগ! ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক-বাংলাদেশ ইসলামিক সলিডারিটি এডুকেশন ওয়াক্ফ (আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ) তাদের অত্যন্ত সফল আইটি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের ৬৮তম রাউন্ডে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন গ্রহণ করছে। এটি শুধুমাত্র একটি প্রশিক্ষণ কোর্স নয়, এটি প্রায় ২ লাখ টাকা সমমূল্যের একটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আইটি স্কলারশিপ, যা আপনাকে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান দিয়ে দক্ষ করে তুলবে এবং কোর্স শেষে নিশ্চিত কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।
প্রোথম আলো সহ বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই প্রোগ্রামটি ১৯ বছর ধরে হাজার হাজার তরুণকে সফল আইটি পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখন পর্যন্ত ১৭,২৭৬ জনেরও বেশি আইটি প্রফেশনাল তৈরি হয়েছে, যারা দেশ-বিদেশের ৩,২৫৪টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
কেন আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ স্কলারশিপ আপনার জন্য সেরা?
এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি কয়েকটি কারণে অনন্য:
সম্পূর্ণ বিনামূল্যে: প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের এই কোর্স সম্পূর্ণ বিনা খরচে করার সুযোগ।
উচ্চমানের পেশাদার প্রশিক্ষণ: আন্তর্জাতিক মানের এবং বাজার-ভিত্তিক আইটি কোর্স, যা আপনাকে বর্তমান চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত করবে।
নন-আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য সুযোগ: যারা কম্পিউটার সায়েন্স বা আইটি বিষয়ে স্নাতক নন, তারাও এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন (বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার এবং আইনজীবীরা আবেদন করতে পারবেন না)।
নিশ্চিত কর্মসংস্থান: কোর্স শেষে আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউর প্লেসমেন্ট সেলের মাধ্যমে সফল শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা হয়। ৯২% এরও বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে কর্মসংস্থান পেয়েছেন।
১৩টি ভিন্ন কোর্স: এই প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন ১৩টি ভিন্ন আইটি কোর্স রয়েছে, যার মধ্যে ৬টি স্নাতকদের জন্য এবং ৭টি ডিপ্লোমাধারীদের জন্য। যেমন: Web and Mobile App Development, Oracle Database Application Development, Graphics, Animation and Video Editing, Network Solutions and System Administration, Web Application Development with Laravel, React, Vue.js & WordPress ইত্যাদি। (বিস্তারিত কোর্সের তালিকা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে)।
অবস্থান: লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণও ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মনোনীত ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে দেওয়া হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন এবং কিভাবে করবেন?
এই সুযোগটি কেবল মেধাবী ও সদিচ্ছা সম্পন্ন মুসলিম তরুণদের জন্য, যাদের অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক, ফাজিল, মাস্টার্স, কামিল পাস অথবা ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (শুধুমাত্র কম্পিউটার/টেলিকমিউনিকেশন/ইলেকট্রনিকস/সিভিল/আর্কিটেকচার/সার্ভে/কনস্ট্রাকশন)।
বয়সসীমা: আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
নির্বাচন প্রক্রিয়া: লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। লিখিত পরীক্ষা সাধারণত MCQ পদ্ধতিতে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের উপর নেওয়া হয়।
আবেদনের শেষ তারিখ: ১৫ জুলাই, ২০২৫
এই সুবর্ণ সুযোগটি হাতছাড়া করবেন না! দ্রুত পদক্ষেপ নিন এবং আপনার ডিজিটাল ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করুন।
Gemini-AI Generated image |
কেন এই প্রোগ্রামটি আমাদের স্বপ্নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
এই আইডিবি-বিআইএসইডব্লিউ স্কলারশিপ প্রোগ্রামটি আমাদের দেশ০৮ ব্লগের মূল উদ্দেশ্যগুলির সাথে পুরোপুরি মিলে যায়। এটি আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ:
দক্ষতা তৈরি: তরুণদেরকে আধুনিক ডিজিটাল দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করা, যা তাদের মুক্ত পেশাজীবী এবং আইটি উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করবে।
বেকারত্ব দূরীকরণ: সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রফেসর ইউনূসের 'শূন্য বেকারত্ব' ভিশনকে সমর্থন করা।
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: যুবকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা, যা একটি শক্তিশালী এবং বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সহায়তা করবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ: তরুণদের ডিজিটাল যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা, যা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবে।